School Bannar

মেনু

দ্বাদশ শ্রেণীর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল শীতকালীন ছুটির পরে প্রকাশ করা হবে। * আগামী ১৪/১২/২০২৫ হতে ২৮/১২/২০২৫ তারিখ পর্যন্ত শীতকালীন ছুটির জন্য কলেজের সকল ক্লাস স্থগিত থাকবে। *

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

আব্দুল হামিদ খান হাই স্কুল এন্ড কলেজ জামালপুর সদর উপজেলার ১৩ নং মেষ্টা ইউনিয়নে অবস্থিত। আশির দশকের শেষের দিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক মরহুম ডাঃ আব্দুল হামিদ খান সাহেব ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের মূল প্রেরণার উৎস। তাঁর উদ্যোগেই এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। এলাকার জনসাধারণের ইচ্ছায় এই প্রতিষ্ঠনের নামকরণ করা হয় "আব্দুল হামিদ খান প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেষ্টা"। এলাকার মানুষের সহযোগিতা ও তাঁর পরিবারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি একটি স্থায়ী ভিত্তি পায় এবং ১৯৯২ সালে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৯৯ সালে "মাধ্যমিক বিভাগ" যুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালে এটি "উচ্চ মাধ্যমিক" পর্যায়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে এটি “আব্দুল হামিদ খান হাই স্কুল এন্ড কলেজ” নামে সুপরিচিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ডাঃ আব্দুল হামিদ খান সাহেব কর্মজীবনে একজন এল.এম.এফ চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে ৪ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। জীবিতকালে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে তিনি "গরীবের বন্ধু" হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি ১ একর এর ঊর্ধে জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। স্কুলের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে জনাব আব্দুল হামিদ খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব জনাব এম. সুলতান মাহমুদ খানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। অধিকন্তু, তিনি এলাকার দারিদ্র বিমোচনে "গাভী প্রকল্প" পরিচালনা করে আসছেন যার সুফল দৃশ্যমান। এছাড়া এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে মরহুম ডাঃ আদুল হামিদ খান সাহেবের বিদূষী জায়া মরহুমা মালেকা খানমের নামে "মালেকা খানম ট্রাস্ট" এর অর্থায়নে শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছেন। উল্লেখ্য যে, এই ট্রাস্টের সিংহভাগ অর্থের জোগানদাতা মরহুম আদুল হামিদ খান সাহেবের মেজো পুত্র আমেরিকা প্রবাসী জনাব নাজমুল ইসলাম খান। জনাব এম. সুলতান মাহমুদ খান এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান মনস্কতা বাড়াতে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণাগারে আধুনিক টেলিস্কোপ সংযোজনসহ সত্যিকার অর্থে শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এ কার্যক্রমের আওতায় "শিক্ষা,কৃষি ও বিজ্ঞান" মেলা অনুষ্ঠান, পরিবেশ ট্যুর পরিচালনা, কম্পিউটার ল্যাবে ল্যাপটপ ও পি.সি সংযোজন এবং লাইব্রেরীতে নতুন বই সংযোজন উল্লেখযোগ্য। র্প্রতিষ্ঠানের ভৌত ও মানসম্মত উন্নয়নে জনাব প্রফেসর ডাঃ কামাল মাহমুদ খান (প্রতিষ্ঠাতার কনিষ্ঠপুত্র) এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবদান অসীম। তাঁরা শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশে শিক্ষার্থীদের দীক্ষিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তানভীর মুর্শেদ খান (জনাব এম.সুলতান মাহমুদ খানের পুত্র), প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) নূরুন্নাহার বেগম এবং প্রাক্তন শিক্ষক (অব.) জনাব ইসমাইল কাজী স্যারের অবদান অনস্বীকার্য। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র মরহুম ডাঃ আদুল হামিদ খান সাহেবের পরিবারের সকল সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই নয়, চরাঞ্চলসহ এলাকাবসীর সার্বিক সহযোগিতায় ইতমধ্যে জামাল্পুর জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফলাফলের দিক দিয়ে "আব্দুল হামিদ খান হাই স্কুল এন্ড কলেজ" অন্যতম স্থান দখল করে আছে।